রবিবার, ১৩ মে, ২০১২

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের দেখা সৃতি

     
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনা,-
আমি রুইসা খিয়াং,-
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর বর্বরোচিত হামলা এখনো ভুলার নয় চারিদিকে গোলাগুলির শব্দ এলাকার সব মানুষ যে যেখানে পেরেছে পালিয়েছে সেদিন সাপ্তাহিক বাজারের দিন ছিল আমি আমার পরিবারের জন্য বাজার করার জন্য বাড়ী হতে রওনা হই পথে দেখি অনেক পাক হানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের একসাথে কোমড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে আমাকে দেখে একজন পাকিস্তানী সৈন্য ডাকলেন সেই সময় আমার হার্টের স্পন্দন যেন মাথার উপরে চড়ে গেল সেই সৈন্য আমাকে বলল, বাঙ্গালীদের বাঁধা দড়ি ধরতে আমি ভয়ে সেই দড়ি ধরলাম এখন বলল, সকলকে দড়ি টেনে কর্ণফুলীর নদীর পাড়ে নামাতে আমি তখন খুবই ভয় পেলাম বুঝলাম এবার বুঝি আমার আর প্রাণে রক্ষে নেই সকলে নদীর পাড়ে নামার পর আমাকে দড়ি খুবই শক্ত করে ধরতে বললেন আমি দড়ি শক্ত করে ধরে রাখলাম পরে সৈন্যরা একের পর এক নিরীহ বাঙ্গালীদের গুলি করল সকলে একের পর এক নদীতে ঢুলে পরল পরে সৈন্যটি আমাকে বলল, তুমি উঠে গিয়ে তারাতারি চলে যাও আমি প্রাণে বেঁচে চলে আসলাম সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালাম প্রাণে বেঁচে যাবার জন্য পরে আমি চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালে সামনে আসলাম হাসপাতালের সামনে একটি বিরাট গাব গাছ রয়েছে সেখানে দেখলাম, মর্মান্তিক আর বিভস্য নির্যাতন কিছু পাকিস্তানী সৈন্য বাঙ্গালীদের ধরে এনে গাব গাছের ডালে উল্টো দিকে ঝুলিয়ে রেখেছে আর জলজ্যান্ত মানুষকে গাঁয়ের চামড়া ছুঁলে লবণ আর মরিচের গুড়া মাখিয়ে দিচ্ছে আর মানুষগুলো যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে এমন অমানবিক অকথ্য নির্যাতন স্বচক্ষে দেখেছি সেই কালের স্বাক্ষী গাব গাছ হাসপাতালের সামনে আসলে এখনো দেখতে পাবেন পরে ভয়ে পরিবারকে কর্ণফুলীর ওপাড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছি যুদ্ধ চলাকালীন সময় পর্যন্ত আমি নিজের ঘরে ছিলাম  এই লোকটি মারা গেছেন ২ আগস্ট ২০১১ইং  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন