রবিবার, ১৩ মে, ২০১২

৬০ বছর পর চিকিৎসার বিল পরিশোধ

৬০ বছর পর চিকিসার বিল পরিশোধ

আনুমানিক ১৯৫৬-৫৯ইং সালে খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনায় ১৮ বছরের যুবক প্রবাস মুসুদ্দী সাইকেল দূর্ঘটনায় ভর্তি হয়েছিলেন তিনি সে সময় কোমড়ে আঘাত জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাবার নাম ছিল প্রয়াত সুরেশ মুসুদ্দী তার বাবা একজন সামান্য বেতনভুক্ত শিক্ষক ছিলেন তার পক্ষে সে সময় তার ছেলের চিকিসার বিল পরিশোধ করার মত স্বামর্থ ছিল না সেই সময় ব্রিটিশ মিশনারী চিকিসক Dr.J.W.Bottoms প্রবাস মুসুদ্দীকে চিকিসা দিয়েছিলেন হত দরিদ্র পিতার পক্ষে ছেলের চিকিসার বিল পরিশোধ করার মত অবস্থা ছিল না তাই সেই সময় তার বাবা Dr.J.W.Bottoms এর কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন, যদি কখনো সম্ভব হয় তাহলে সেই চিকিসার বিল পরিশোধ করবে দু:, কষ্ট আর দারিদ্রতার কারণে হতভাগ্য তার পিতার পক্ষে ৯০ টাকা আর পরিশোধ করা সম্ভব হলো না তার পিতাও অসময়ে হঠা মারা গেলেন পিতার সেই অঙ্গীকারের কারণে দীর্ঘ ৬০ বছর পর গত ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ইং তারিখে হাসপাতালে এসে নিজের চিকিসার খরচের ৯০টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ করে গেলেন তিনি বললেন, আমি এই বিলের টাকা পরিশোধ করতে পেরে নিজেকে দেনা দায় হতে মুক্ত মনে করেছি তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় রিফুজী হিসেবে ভারতে চলে গিয়েছিলেন অভাব অনাটন তার জীবনে সব সময়ই লেগেই থাকত তিনি ৭ম শ্রেণী র্ন্ত লেখাপড়া করেছেন ভারতের পুন্নিচেরি শ্রী অরবিন্দু আশ্রমে রয়েছেন সু-দীর্ঘ ৩৭ বছর বর্তমানে ভারতে স্থায়ীভাবে আছেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন আমি Residential Visa নিয়ে সেখানে রয়েছি তিনি চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনীয়া থানার অর্ন্তগত নজরটিলা নিজ গ্রামে তার ভাইয়ের ছেলের কাছে মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসেন।  প্রবাস মুসুদ্দীর বর্তমান বয়স ৮১ বছর তিনি বলেন, আমি যে আশ্রমে রয়েছি, সেখানে চিরকুমার হয়ে থাকতে হয় তাই আমি সারা জীবনই মানব কল্যাণের সেবাতেই জীবন অতিবাহিত করেছি তবে আমার ইচ্ছা রয়েছে, আমি এদেশে  একেবারে চলে আসবো তিনি ১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে কর্ণফুলী পেপার মিলেও বছরের মত কাজ করেছেন তিনি সে সময় মোজাইকের কাজ করতেন ৮১ বছরের এই বৃদ্ধ এখনো শক্তি স্বামর্থ মনোবল নিয়ে অন্যের কোন রকম সাহায্য ছাড়াই চলাফেরা করতে সক্ষম। তিনি ৬০ বছর পর নিজের চিকিসার খরচের বকেয়া বিল ৯০ টাকা পরিশোধ করে আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুললেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন